সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুবিধা

  • সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। তবে, বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ নাগরিকগণও ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন চাঁদা প্রদান করলে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন;
  • প্রবাস থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রেরিত চাঁদার ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা পাওয়া যাবে। এ প্রণোদনার অর্থ তার চাঁদা হিসেবে জমা হবে;
  • ব্যাংকে সরাসরি গিয়ে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও অনলাইন ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে এবং ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে চাঁদার টাকা জমা দেওয়া যাবে;
  • প্রবাসী স্কিমে অংশগ্রহণকারীগণ ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রায় মাসিক চাঁদার টাকা জমা দিবেন;
  • চাঁদার টাকা ট্রেজারি বন্ডসহ নিরাপদ কার্যক্রমে বিনিয়োগ করা হবে;
  • সর্বজনীন পেনশন স্কিমে প্রদত্ত চাঁদা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর রেয়াত পাওয়া যাবে;
  • আবেদনের সময় চাঁদাদাতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা আবশ্যক;
  • মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থও আয়কর মুক্ত থাকবে;
  • নির্ধারিত ফরমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে, যার বিপরীতে আবেদনকারীর অনুকূলে একটি ইউনিক আইডি প্রদান করা হবে;
  • মোবাইল নম্বর ও প্রবাসীদের ইমেইলের মাধ্যমে ইউনিক আইডি নম্বর, চাঁদার হার এবং মাসিক চাঁদা প্রদানের তারিখ অবহিত করা হবে;
  • সোনালী ব্যাংকের প্রতিটি শাখা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সম্মুখ অফিস হিসেবে কাজ করবে;
  • পেনশনের টাকা তোলার জন্য কোনো অফিসে যেতে হবে না। আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পেনশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হবে;
  • পেনশন স্কিম ও চাঁদার হার যেকোনো সময় পরিবর্তন করা যাবে। তবে, পেনশনার আইডি অপরিবর্তিত থাকবে;

প্রগতি স্কিম

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীদের জন্য এ সুবিধা। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অথবা নিজ উদ্যোগে এককভাবে এ স্কিমে যুক্ত হওয়া যাবে। প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্ষিথে যোগ দিলে ক্ষিমের চাঁদার ৫০ শতাংশ কর্মী এবং বাকি অংশ প্রতিষ্ঠান দিবে। মাসিক চাঁদার হার ২০০০, ৩০০০ ও ৫০০০ টাকা।

সমতা স্কিম

দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী (যাদের আয়সীমা বাৎসরিক অনুর্ধ্ব ৬০ হাজার টাকা) স্বল্প আয়ের নাগরিক- গণের জন্য এ স্কিম। সমতা স্কিমে মাসিক চাঁদার হার ১০০০ টাকা। যার মধ্যে চাঁদাদাতা জমা দিবেন ৫০০ টাকা এবং বাকি ৫০০ টাকা দিবে সরকার।

প্রবাস স্কিম

  • বিদেশে অর্জিত অর্থ থেকে নিরাপদ সঞ্চয়ের লক্ষ্যে প্রবাস স্কিমে চাঁদা প্রদান করলে ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে;
  • প্রবাস স্কিমে বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা প্রদানে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা পাবেন। এ প্রণোদনার অর্থ তার চাঁদা হিসাবে জমা হবে;
  • প্রবাস স্কিমে অংশগ্রহণকারী প্রবাসী কর্মী ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সহজেই সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত এ্যাকাউন্টে চাঁদার অর্থ জমা দিতে পারবেন;
  • পেনশন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে চাঁদাদাতাকে কোন অফিসে আবেদন করতে হবে না । নিরবচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা প্রদান করলে ৬০ বছর পূর্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে EFT (Electronic Fund Transfer) এর মাধ্যমে তার ব্যাংক একাউন্টে মাসিক পেনশনের টাকা জমা হবে;
  • প্রবাস স্কিমে অংশগ্রহণকারী প্রবাসী কর্মী দেশে ফেরত আসলে অন্য স্কিমে (প্রগতি, সুরক্ষা) চাঁদাদাতা হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন;
  • প্রবাস স্কিমে অংশগ্রহণকারী চাঁদাদাতা ০৩ মাস, ০৯ মাস ও ১২ মাসের চাঁদা একসাথে জমা প্রদান করতে পারবেন;
  • প্রবাস আয় থেকে দেশে প্রেরিত অর্থের বৃহৎ অংশ সাংসারিক প্রয়োজনে ব্যয় হয়। প্রবাস পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করলে প্রবাসী কর্মী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করে ভবিষ্যতে যখন কর্মহীন হবে তখন এ অর্থ ব্যয় করতে পারবে;
  • প্রবাসী কর্মী নিজ নামে অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করে এ স্কিমে অংশগ্রহণ করবে, তাই এ কার্যক্রমে ৩য় কোন ব্যক্তির হস্তক্ষেপ থাকবে না;
  • যেহেতু সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নমিনী রাখার সুযোগ রয়েছে তাই কোন কারনে প্রবাসী চাঁদাদাতা মৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত সকল অর্থ মুনাফাসহ নমিনীকে ফেরত প্রদান করা হবে।

সুরক্ষা স্কিম

স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য এ স্কিম। কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, গৃহিণী, তাঁতিসহ সব অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত ব্যক্তিগণ নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান করে এ জিমে যুক্ত হতে পারবেন। মাসিক চাঁদার হার ১০০০, ২০০০, ৩০০০ ও ৫০০০ টাকা।